বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবী ড. আ জ ম ওবায়দুল্লাহ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ৮ মে বিকাল পৌণে ৩টায় তাঁকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ মে রাত দেড়টায় ৬৫ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১১ মে সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে প্রথম এবং ভোলার চরফ্যাশন কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে রাত ১০টায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
শোকবাণী
ড. আ জ ম ওবায়দুল্লাহ এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১১ মে এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, ড. আ জ ম ওবায়দুল্লাহ একজন উঁচুমানের সংগঠক ছিলেন। তিনি অনেক শিশু-কিশোর সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশে এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও স্পষ্টভাষী ছিলেন। তিনি মুহূর্তেই যে কাউকে আপন করে নিতে পারতেন। তাঁর ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
Discussion about this post